স্পোর্টস ডেস্ক : সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ সব শটের সঙ্গে বিগ হিটিংয়ে বিশাল বিশাল ছক্কা হাকিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে ফোকাসে এসেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার আসিফ আলী।
আরও পড়ুন : কমেছে ডিম-সবজির দাম
এশিয়া কাপেও এই ডানহাতি ব্যাটার ফিনিশার হিসেবে দ্যুতি ছড়াতে কঠোর পরিশ্রম করছেন। তিনি নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ছক্কা হাকাচ্ছেন।
পাকিস্তানি হার্ড হিটার সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিনিশার হিসেবে খেলতে নেমে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন।
তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ছক্কায় মাত্র ১২ বলে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। মাত্র ৭ বলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রান করেছিলেন।
আরও পড়ুন : সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত
পাকিস্তানের শেষ দুই ওভারে ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। করিম জানাতের এক ওভারে ৪ টি ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন আসিফ।
আসিফ আলী নিজের সেই পরিচয় ধরে রাখতে পাকিস্তানের ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে ছক্কার অনুশীলন করছেন নিয়মিত।
বিধ্বংসী ব্যাটার আসিফ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি এমন এক পজিশনে ব্যাটিং করি যেখানে ওভারে ১০ রানের বেশি প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে বন্যায় নিহত ১৮২
এজন্য আপনাকে বড় শট মারতে হবে এবং সেটির জন্য প্রচুর অনুশীলন প্রয়োজন। আমি সাধারণত প্রতিদিন ১০০-১৫০ ছক্কা মারতাম। যাতে ম্যাচে ৪-৫ টা ছক্কা মারতে পারি।’
আসিফ জানান, টি-টোয়েন্টির সময়ে বোলারদের মতো ব্যাটাদেরও শটের বৈচিত্র থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। বারবার একই শট না খেলার চেষ্টা করে বলের লাইন লেংথ বুঝে শট খেলেন। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩০ বছর বয়সি এই ব্যাটারের নিজের চাপটাও বেশ ভালো জানা।
ভয়ংকর এই ব্যাটার বলেন, ‘এটা ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আমি যখন টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং করতে আসি তখন সবসময় চাপ থাকে।
আরও পড়ুন : তুর্কি যুদ্ধবিমানকে গ্রিসের ধাওয়া
আমি বলের লাইন ও লেংথ অনুযায়ী মারার চেষ্টা করি। আমি কখনই একই শট বারবার খেলার চেষ্টা করি না।’
১৯৯১ সালের ১ অক্টোবর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদে জন্মগ্রহণ করেন প্রথিতযশা পাকিস্তানি পেশাদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার আসিফ আলী ।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে ফয়সালাবাদ ও পাকিস্তান সুপার লীগে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সান নিউজ/এইচএন