খেলা

একজন সাদিও মানে ও তার মানবতা

স্পোর্টস ডেস্ক:

লিভারপুল স্ট্রাইকার সাদিও মানে, কেবল একজন ফুটবলার হিসেবেই সবাই তাকে চেনেন। কিন্তু এর পেছনেও তিনি একজন মহানুভবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এ ব্যপারে কয়জন জানে?

বছরে ১২ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করলেও চলেন একদম সাধারণ মানুষের মতো। অন্য অনেকেই যেখানে টাকা উড়িয়ে ফুর্তি করতে ব্যস্ত সেখানে তিনি ব্যস্ত মানুষের উপকারে।

নিয়মিত ক্ষুধার্ত শিশুদের খাওয়ান তিনি। এমনকি নিজে ব্যবহার করেন স্ক্রিণ ফেটে যাওয়া পুরোনো ফোন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মানের এমন একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর জানালেন নিজের সহজ জীবনযাপনের রহস্য।

লিভারপুল ফরোয়ার্ড যোগ করেন, ‘আমি শিক্ষিত না । তাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছি। দরিদ্র ছিলাম বলেই হয়তো জীবনের আসল অর্থ বুঝেছি। কিন্তু দুনিয়ায় আজ যারা বড় শিক্ষিত তারাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্বটা ঠিকঠাক বুঝছেন না। যদি বুঝতেন তবে পৃথিবীতে এতো অভুক্ত শিশু না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যেতোনা। মানুষ দিন দিন এভাবে ভোগ বিলাসের কয়েদি হয়ে ওঠতোনা।’

এত বড় তারকা হয়েও সাধারণ জীবন যাপনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দশটি ফেরারি গাড়ী, বিশটি ডায়মণ্ড ঘড়ি আর বিলাসবহুল বাড়ি, নিত্যনতুন মডেলের বিলাস সামগ্রী এসব দিয়ে কী হবে। এগুলো শুধু বৈষয়িক অবজেক্ট ছাড়া আর কিছুই নয়।’

মানের দার্শনিক সত্তাও প্রকাশ পেয়েছে তার কথায়। তিনি বলেন, ‘মানুষের রুচি খুবই নিম্নমানের না হলে কেউ বিশ ত্রিশ হাজার ডলারের ঘড়ি হাতে দিয়ে ঘুরবেনা। আর এসবে আমার এবং সমাজের কি উপকার হবে। যেই মুহুর্তে আমার নিঃশ্বাস শেষ সেই মুহুর্ত থেকে এসবের মালিকানাও শেষ।’

নিজ দেশের উন্নয়ন কার্যে আয়ের বড় অংশ খরচ করে থাকেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের বিলাস বহুল বাড়ির পরিবর্তে অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছি, দামি পোষাকে ওয়্যারড্রব ভর্তি না করে অসংখ্য বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছি। নিজে দামি গাড়ি চালানোর পরিবর্তে অগণিত স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

সাদিও মানে বলেন, ‘একসময় আমি আর ফুটবল খেলতে পারবোনা। বার্ধক্য আসবে। নিঃশ্বাসের ইতি ঘটবে। কিন্তু বাড়ি, গাড়ি, ঘড়ি, ফোন আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেনা। যেসব মানুষকে সাহায্য করেছি তাদের নিঃশ্বাসেই হয়তো আমি বেঁচে থাকবো।’

সান নিউজ/সালি

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

ফের ৯৮ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

ফের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। বিম...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার প্রভাব কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ, যুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা নেই

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা