নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্রোহসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বিদ্রোহ সংগঠন ও এতে প্ররোচনা প্রদান, বিদ্রোহের কারণ সৃষ্টি বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বা এতে যোগদান করা, বিদ্রোহ স্থলে উপস্থিত হয়ে তা দমনের জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা গ্রহণ না করা, বিদ্রোহ সম্পর্কে জেনে বা ষড়যন্ত্রের কথা যুক্তিসঙ্গতভাবে জানা সত্ত্বেও সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানানো, কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যকে সরকারের প্রতি তার কর্তব্য ও আনুগত্য থেকে বিরত রাখা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিদ্রোহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়ান সদস্য বা আনসার ব্যাটালিয়ন বহির্ভূত কোনো ব্যক্তিকে অস্ত্র-গোলাবারুদ বা দ্রব্য সামগ্রী দিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে সাহায্য করা, বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য যেকোনো অপরাধ সংগঠন করা-এক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড বা অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। ’
আরও পড়ুন: যুগ্ম সচিব হলেন ২২১ কর্মকর্তা
তিনি বলেন, আগের আইনে বড় একটা গ্যাপ ছিল, কিছু ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান ছিল না। বিদ্রোহ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। সেগুলোকে সুনির্দিষ্ট করে আইনের খসড়া আজ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘নতুন আইনের বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে রয়েছে-সরকারি বা ব্যাটালিয়ন সদস্যের সম্পত্তি চুরি করা, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে প্যারেডে অনুপস্থিত থাকা, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রদর্শন করা। এক্ষেত্রে চাকরি থেকে বরখাস্ত, চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অপসারণের শাস্তির কথা বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির রূপরেখা অত্যন্ত হাস্যকর
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খসড়া আইনে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে দুটি আদালত রাখার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে বলেন, একটি হবে সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত, আরেকটি হবে বিশেষ আনসার আদালত। সংক্ষিপ্ত আদালত একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে হবে। গুরুতর অপরাধের জন্য হবে বিশেষ আদালত। এ আদালতের প্রধান হবেন মহাপরিচালক। এ দুটি আদালতে কী কী অপরাধের বিচার হবে সেই বর্ণনা খসড়া লাইনে দেওয়া হয়েছে।
‘এছাড়া শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড রয়েছে। আপিল করারও ব্যবস্থা থাকবে। তাদের শাস্তি মওকুফের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছেও তারা আবেদন করতে পারবেন যোগ করেন সচিব।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ মার্চ আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আইনে ৩৩টি ধারা রয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন