নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আজ শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হলো ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। লকডাউনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের দোকানপাট, গণপরিবহন এবং শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবারের বিধিনিষেধে প্রশাসন গতবারের চেয়েও কঠোর থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সব কিছুই বন্ধ থাকবে। এটা এ যাবতকালের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ হতে যাচ্ছে। এ সময় মানুষের বাইরে আসার প্রয়োজনই হবে না। কারণ অফিসে যাওয়ার বিষয় নেই। যারা গ্রামে গেছেন, তারা জানেন যে অফিস বন্ধ। তাদের ৫ তারিখের পরে আসতে হবে।’
এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিধিনিষেধের মধ্যে ফেরিতে যাত্রীবাহী সকল ধরনের যান পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র জরুরি পণ্যবাহী যান ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে।
সব কিছু বন্ধ থাকলেও কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পণ্য ও ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
আগামী রোববার (২৫ জুলাই) থেকে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। সেই সঙ্গে খোলা থাকবে বীমা কোম্পানির কার্যালয় ও শেয়ারবাজার।
সান নিউজ/ এমএইচআর