নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) ভোরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মো. মাহফুজ রিভেঞ্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক (ঢাকা) দিনমনি শর্মা, সহকারী পরিচালক (ঢাকা) ছালেহ উদ্দিন আহমেদ, উপ-সহকারী পরিচালক (ঢাকা জোন-০১) মো. বজলুল রশিদ ও ও্যার হাউজের পরিদর্শন মণ্ডল।
এগিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাড়িয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক আহত ও দগ্ধ হয় বলে জানা গেছে।
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট এবং আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢামেকের জরুরি বিভাগেই ৩২ জনকে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
বিস্ফোরণে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীদের মধ্যে দুইজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রমনা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার ফয়সালুর রহমান। তিনি বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণের কথা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঠিক কোথায় থেকে বিস্ফোরণ ঘটলো তা তাৎক্ষণিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণে ভবনটির নিচতলার ভেতরেই ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মোট সাতজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, আহত ও দগ্ধদের ঢাকা কমিউনিটি ক্লিনিক, আদ্ব-দীন হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, মগবাজারের ঘটনায় বার্ন ইউনিটে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন। জরুরি বিভাগে আরও অনেক রোগী আসছেন।
আহতদের মধ্যে রাসেল (২৪), জাকির হোসেন (৪০), স্বপন (২২), নয়ন (৩২), মোতালেব (৪০), আবুল কালাম (৩৫), মো. পইমল হোসেন (৪০), মোস্তাফিজ (৪৫), নবী (২৮) ও আজাদের (৩৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
সান নিউজ/এমএম