দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন রবিবার জানিয়েছেন, দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশে থাকা সম্পদের হিসাবও নির্বাচনী হলফনামায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, যদি বিদেশি সম্পদের তথ্য না দেওয়া হয়, তা আইন অনুযায়ী অন্যায় হবে।
সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, “অনুপার্জিত সম্পদ যাদের থাকবে, তাদের বিরুদ্ধেও দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” তিনি বলেন, এটি নির্বাচনপ্রার্থীদের সম্পদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. আবদুল মোমেন দুদকের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি সম্পত্তি ৫.২১ একর হিসেবে নথিভুক্ত ছিল, কিন্তু অনুসন্ধান করে দেখা যায় মোট ২৯ একর। তখন দুদক তদন্ত করলেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, “সম্পদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনকে নিরপেক্ষ রাখা দুদকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যারা সম্পদের হিসাব না দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রার্থীরা দেশি ও বিদেশি সম্পদের পূর্ণ বিবরণী নির্বাচন হলফনামায় জমা দেবেন। এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সাননিউজ/এও