নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা হবে আগামী ২০ নভেম্বর। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
সপ্তাহব্যাপী শুনানি শেষে আপিল বিভাগের এই রায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অন্য ছয় বিচারপতি হলেন: মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক, এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং ফারাহ মাহবুব।
শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জামায়াতে ইসলামী পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহামদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৯৬ সালের ত্রয়োদশ সংশোধনী দ্বারা। তবে ১৯৯৮ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে আপিল বিভাগ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।
এই রায়ের পর পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। বর্তমানে পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনগুলো এই রায়ের ওপর আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে নির্ভর করবে।
আগামী ২০ নভেম্বর ঘোষিত রায় দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় এবং রাজনৈতিক কাঠামোয় বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আইনজীবী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সাননিউজ/এও