অভিন্ন পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা আটটি দল আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে যৌথ সমাবেশ করবে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত এই সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি “জোরালো বার্তা” দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলগুলো।
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আটটি দলের এই সমাবেশে মূল দাবি হিসেবে রয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। বৈঠকে অংশ নেয় জোটের যোগাযোগ কমিটি।
আযাদ বলেন, “এই সমাবেশ সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেবে। হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষ অংশ নেবে বলে আমরা আশা করছি।” তিনি আরও জানান, এটি জোটের প্রতিবাদ কর্মসূচির পঞ্চম ধাপ, যা ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল।
সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক ঘোষিত আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার একদিন পর। গত বৃহস্পতিবার জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সতর্ক করে বলেছিলেন, “সরকার যদি ১০ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবি না মানে, তাহলে ঢাকায় ভিন্ন চিত্র দেখা যাবে।”
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “জুলাই সনদ ও এর বাস্তবায়ন আদেশ দুটি ভিন্ন বিষয় হলেও বিএনপি সেগুলো এক করে ফেলছে। নয় মাস ধরে ঐকমত্য কমিশনে সব দল একসঙ্গে কাজ করেছে, কিন্তু কিছু দলের পদক্ষেপের কারণে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের দরজা এখনও খোলা রয়েছে। “সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার উদ্যোগ নিতে পারে, তবে জুলাই জাতীয় সনদে হাত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে সংলাপের মাধ্যমেই সমাধান খোঁজা উচিত।”
সমাবেশে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করব সময়মতো অনুষ্ঠান শেষ করতে। যদি ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে বড় কোনো যানজট হবে না।”
আজকের এই যৌথ সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পল্টন ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতির প্রত্যাশা করছে আয়োজক জোট।
সাননিউজ/এও