জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশেষ করে বয়স সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন আর জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসে গ্রহণ করা হবে না। বিষয়টি শুধুমাত্র ইসির প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালনা করা হবে।
রোববার (৯ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, “বয়স সংশোধন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখছি এটি অপব্যবহার হচ্ছে। কেউ কেউ অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে নিজেদের জন্মতারিখ পরিবর্তন করছে। তাই এসব বিষয় এখন থেকে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন অফিসে রাখা নিরাপদ নয়।”
ইসি সূত্র জানায়, নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করা হচ্ছে যেখানে বয়স সংশোধনের ক্ষমতা কেবল ইসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সীমিত থাকবে। তবে নামের বানান, ঠিকানা বা ছবির মতো সাধারণ সংশোধনের দায়িত্ব স্থানীয় নির্বাচন অফিসগুলোই পালন করবে।
হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, “সংশোধনের আবেদন আগে অনেক বেশি সহজলভ্য ছিল, এখন আমরা সেটি আরও নিয়ন্ত্রিত ও যাচাইযোগ্য করার উদ্যোগ নিচ্ছি। কেউ যদি সত্যিকারের বিপদে পড়ে থাকে, তার জন্য ব্যবস্থা থাকবে; তবে অপরাধী মানসিকতা থেকে কেউ যাতে তথ্য পরিবর্তন করতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি জানান, এনআইডি সংশোধনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ডাটাবেজের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণেই কমিশন সংশোধন প্রক্রিয়াকে সীমিত ও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে এনআইডি তথ্যের অপব্যবহার রোধ হবে এবং ভবিষ্যতে ভোটার তালিকা ও নাগরিক তথ্য আরও নির্ভরযোগ্যভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
সাননিউজ/এও