নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নাইকো দুর্নীতি মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে আগামী ১০ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ২২ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এরপর দুদক ২০১৮ সালে বিদেশি একজন সাক্ষী নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি করে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান, শুনানি শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই
গত ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০০৭ সালে দুদক বিএনপি চেয়ারপারসন বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করতে হবে
এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমানের মৃত্যু হওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০০১-২০০৬ সালের মধ্যে সরকার থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
সান নিউজ/এমএ