নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ মানে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন। আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না। আমাদের নির্বাচন হবে আমাদের নিয়মে, সংবিধানে যেভাবে লেখা আছে। এর বাইরে কারও চক্রান্তমূলক অভিলাষ বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
আরও পড়ুন : রাষ্ট্রদূতরা নিজেদের সম্রাট মনে করেন
শুক্রবার (২১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিপরীতে যারা অবস্থান করছে তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, পাকিস্তান-আফগানিস্তানের বন্ধু, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। ওরা ষড়যন্ত্রকারী, ওদের তৎপরতার কাছে কি সারেন্ডার করব? সারেন্ডার করে এ দেশের মাটি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিক বিজয়, উন্নয়ন অভিযাত্রা কি বিসর্জন দেব?
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে নিহত ১৬
মার্কিন কূটনীতিক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করলাম, তারা কেউই বলল না যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে তারা (বিএনপি) পদত্যাগ করতে বলে। তাহলে আলোচনাটা করবে কার সঙ্গে? তখন (বিদেশিরা) আর কিছু বলেনি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সারা দেশে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। হত্যার শিকার হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। আর নির্জলা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিএনপি চিরাচরিতভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। মফস্বলে সহিংসতা যা ঘটানো হচ্ছে, তা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। রাজনৈতিক অপশক্তির হোতা বিএনপি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন : বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার
হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বনানীর ঘটনা কে ঘটাল? আমরা কেন ঘটাব? আমরা প্রার্থীকে প্রার্থী হিসাবে দেখি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারটা নিয়ে তোলপাড়। প্রার্থী যেই হোক তাকে প্রার্থী হিসাবেই দেখছে সরকার। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে বললাম, আপনি এই শহরে কতদিন আছেন? তিনি বললেন ৩ মাস। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কতটি বিশৃঙ্খলা দেখেছেন।’ আসলে বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে কিছু ঘটনা ঘটে, কিন্তু সেরকম ঘটনা কি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) দেশে ঘটে না? বিশ্ব রাজনীতিতে গভীর সংকট চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নানা রকম মোড় নিচ্ছে বিশ্বরাজনীতি। এখন এ অবস্থায় দেখছি বিশ্বে নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর মাথাব্যথা বাংলাদেশ। আমাদের এখানে কী হবে সেটা নিয়ে তাদের আগ্রহ বেশি!
সান নিউজ/এমআর
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            