জেলা প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : দিল্লি সফরে গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন জানান, নোমানের মাথায় গুলি করা হয়েছে। নোমান মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। শুনেছি রাস্তায় তারও মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন : ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারের তালিকা
যুবলীগ নেতার মৃত্যুর খবরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সদর হাসপাতালে জড়ো হয়। হাসপাতালে তাদের কান্নার রোল পড়ে যায়। পরে সদর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নোমান হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে নেতারা। এ হত্যার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করছেন তারা।
তবে নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান জানান, সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান কাশেম জিহাদীর লোকজন নোমানকে গুলি করে হত্যা করেছে। চেয়ারম্যান নির্বাচনে কাশেম আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছিল।
আরও পড়ুন : আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা
তিনি আরও জানান, এরপর থেকে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। এ হত্যা পরিকল্পিত ছিল। আমি কাশেম জিহাদীর বিচার চাই।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। অপরদিকে রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ও একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন : পুলিশের ত্যাগের বিনিময়ে মানুষ ঘুমাতে পারে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগে নোমান পোদ্দার বাজারে ছিল। এ সময় তার সাথে থাকা অন্যদেরকে বিদায় দিয়ে তিনি রাকিবকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নাগেরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন।
নাগেরহাটের কাছাকাছি পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি করে। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও নোমানের মোবাইলও নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : ফের ৬ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ
স্থানীয়রা জানান, বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জেহাদী পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান ভোট করেন কাশেম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মাহফুজুর রহমান। এতে কাশেমের ভরাডুবি হয়। ঐ নির্বাচন নিয়েই কাশেম ও তার বাহিনীর সাথে মাহফুজ-নোমানদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
আরও পড়ুন : বান্দরবানে দু’গ্রুপের গোলাগুলি
এ বিষয়ে কাশেম জিহাদীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান, আমরা এ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে।
আরও পড়ুন : বিএনপির কাছে পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত ইসি
এ সময় নোমানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুর নয়ন এমপি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন : ৩৪তম বিজয়ী সিলেট শাখার গ্রাহক
উল্লেখ্য, গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
সান নিউজ/এনজে
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            