নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ঝিনাইদহ শৈলকুপা পৌর বিএনপির সভাপতি এবং সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে মামলার নথি তলব করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়।
আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান জানান, আদালত তার আপিল আবেদন গ্রহণ করে আদালত জামিন দিয়েছেন এবং অর্থদণ্ডও স্থগিত করেছেন।
জাল জালিয়াতির মামলায় গত বছরের ২৯ মার্চ তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালত। ওই রায়ের পর হাইকোর্টে আপিল করেন খলিলুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঝিনাইদহের ৫১ নম্বর শৈলকুপা মৌজার ৫৫৪৫ দাগে পাঁচ শতক এবং ৫৫৪৬ দাগে আরও তিন শতক মোট আট শতক জমি এসএ রেকর্ড অনুযায়ী খাস জমি। ১৯৭৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর খলিলুর ওই জমি ও ভবন সুষমা বালা নামের এক মহিলাকে দাতা ও নিজে গ্রহীতা হয়ে জাল দলিল করে নেন।
২০০৫ সালে খলিলুর স্বত্ব দাবি করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সরকারকে বিবাদী করে দেওয়ানি মামলা করেন। দলিল সঠিক কি-না তা জানতে চেয়ে আদালত প্রতিবেদন দিতে বলেন জেলা রেজিস্ট্রারকে। তদন্ত প্রতিবেদনে দলিল জাল বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে খলিলুর রহমান দেওয়ানি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।
মেয়র থাকা অবস্থায় খলিলুর রহমান ওই জমির পুরাতন ভবন ভেঙে বহুতল ভবন তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন। খাস জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখলের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৫ আগস্ট পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম শৈলকুপা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সান নিউজ/এমএ/এসএম