বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত গণসংবর্ধনার অনুষ্ঠানস্থলে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এসেছেন। এখনো বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, পিকআপে করে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকার গণসংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন। অনেক নেতা-কর্মী আবার যাচ্ছেন ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ডিসেম্বর)সকাল থেকে সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পূর্বাচলসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা।
কোনো কোনো গাড়িতে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে গান বাজাতে দেখা যায়। নেতা-কর্মীরা নেচে-গেয়ে আনন্দ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন গন্তব্যে।
মহাখালীর আমতলী ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। ফলে সেখানে এসে গাড়ি থেকে নেমে যেতে হচ্ছিল নেতা-কর্মীদের। বাকি পথ তাঁরা পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দর ও গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। কারও পরনে লাল, সাদা, হলুদ রঙের টি-শার্ট। কারও মাথায় রঙিন ক্যাপ। অনেকের হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা।
‘তারেক রহমান আসছে, রাজপথ কাঁপছে’; ‘মা-মাটি, ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’; ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’; ‘তারেক রহমান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগানে মুখর পুরো এলাকা।
রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট সড়ক) গণসংবর্ধনার মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা কয়েক দিন ধরে সেখানে যাচ্ছেন। গতকাল বুধবার সারা দিন, এমনকি রাতের বেলায়ও সেখানে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী দেখা যায়।
তারেক রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সফরসঙ্গীদের বহনকারী উড়োজাহাজটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের রেড জোনে তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গণসংবর্ধনাস্থল যাবেন তারেক রহমান। গণসংবর্ধনা শেষে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান।
আমারবাঙলা/এসএ