পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত অভিযুক্তদের কাছে ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় জামায়াতে ইসলামীর এক স্থানীয় নেতাকে তার সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করেছে দল।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত বিশেষ রোকন বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অভিযুক্ত মো. আ. হালিম কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি।
দল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. আ. হালিমের নিজ বাড়িতে কয়েকজন নারী ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। ওই নারীদের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
অভিযোগটি সামনে আসার পর সংগঠনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত যাচাই এবং সাংগঠনিক নীতিমালার আলোকে বিশেষ বৈঠক ডেকে আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে অভিযোগের সত্যতা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় নেতারা জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ, নৈতিকতা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। সংগঠনের নৈতিক অবস্থান বজায় রাখা এবং শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কুয়াকাটা পৌর জামায়াত ও কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, আদর্শভিত্তিক সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ব্যক্তির চেয়ে নীতি ও আদর্শকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সে অনুযায়ীই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সাননিউজ/আরআরপি