বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনও যোধদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হননি। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের মধ্যভাগে দেশে ফিরে তিনি ভোটার হবেন। নেতারা বলছেন, তারেক লন্ডন থেকেও ভোটার হতে পারতেন, কিন্তু তিনি বাংলাদেশে এসে ভোটার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, তারেক রহমান লন্ডনে ভোটার হয়েছেন কি না তা নির্বাচন কমিশনের কাছে নিশ্চিতভাবে জানা নেই। তবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া প্রাপ্তবয়স্ক কেউ যে কোনো সময় ভোটার হতে পারবেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যেসব প্রার্থী ১৮ বছর বয়সে পৌঁছেছেন, তারা নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। নতুন ভোটারদের জন্য নির্বাচনের আগে আর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে যারা আগে ভোটার ছিলেন এবং তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তারা নির্বাচনের আগে আবেদন করে ‘সাপ্লিমেন্টারি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
তারেক রহমানের দেশের ফেরা নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবল আগ্রহ দেখা দিয়েছে। বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, তিনি মধ্য ডিসেম্বরে দেশে ফিরবেন। দেশে ফেরার আগে ওমরাহ হজ পালনের কথা রয়েছে এবং সেখান থেকে সরাসরি দেশে ফিরে আসবেন। দলীয় শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তার নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া চলাচলের জন্য দল ত্যাগী নেতাকর্মীদের একটি নিরাপত্তা টিম গঠন করতে যাচ্ছে।
দেশে ফিরেই তারেক রহমান গুলশান-২-এর ‘ফিরোজা’ ভবনে উঠবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে তিনি অফিস চালাবেন। বাড়িটি ইতোমধ্যেই বসার উপযোগী করে সাজানো হয়েছে এবং সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে চেয়ারপারসনের নিজস্ব সিকিউরিটি ফোর্স।
দলের সূত্র জানাচ্ছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি কয়েকদিন আগেই প্রকাশ করা হবে। তার আসার দিন রাজধানীতে লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থক স্বাগত জানাতে জড়ো হবেন। দলের নির্বাচনী প্রচারের অর্ধেকই তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে যুক্ত হবে।
তারেক রহমান ২০০৭ সালের ৭ মার্চ জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হন। কারাগারে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান এবং ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। সেখান থেকেই তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
সাননিউজ/এও