ডিসেম্বরে এনসিপির নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র সংস্কার নিশ্চিত করার লক্ষ্য সামনে রেখে বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গঠিত হচ্ছে এই জোট। সংশ্লিষ্টরা জানান, জোটটি দীর্ঘমেয়াদে দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যে চাপ সৃষ্টিকারী শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
জোটে মোট পাঁচটি দল ও প্ল্যাটফর্ম একমত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), যারা জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল। এছাড়া এতে আছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এবং গণতন্ত্র মঞ্চের একটি দল। গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, জুলাই সনদের প্রতি ইতিবাচক দলগুলোকেই জোটে নেওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, “জোটটি সফলভাবে গড়ে উঠলে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা সংস্কার ও জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দীর্ঘমেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
আগস্টে জোট গঠনের প্রাথমিক আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত তা থেমে গিয়েছিল। তবে এবি পার্টি, আপ বাংলাদেশ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন যৌথভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। চলতি মাসেও ছয়টি দলের সমন্বয়ে পল্টনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আসন্ন নির্বাচন নয়, বরং রাষ্ট্র সংস্কারকেই প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে আলোচনা করা হয়।
ফেনীতে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েক দিনের মধ্যে জোট ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে সরাসরি জড়িত দলগুলোই জোটের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। জোটের রাজনৈতিক লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদি হলেও আসন্ন নির্বাচনে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করব।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডিসেম্বরে জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর দেশের নির্বাচনী অঙ্গনে এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন হিসাব-নিকাশ তৈরি হবে।
সাননিউজ/এও