বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বল্পন্নোত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ এবং বন্দরের বিষয়সহ কোনো দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র নির্বাচিত সরকারের দ্বারা নেওয়া যেতে পারে। অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, যা দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতকে দশকের পর দশক প্রভাবিত করবে।
গত সোমবার তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত দীর্ঘ পোস্টে তিনি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে নির্বাচিত সরকারের অনুমোদন ছাড়া নেওয়া সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তারেক রহমান উল্লেখ করেন, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার মালিক ও নারায়ণগঞ্জের তরুণীর উদাহরণ দেখায় যে, এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্তের প্রভাব পরিবার ও শ্রমিকদের জীবনে সরাসরি পড়ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করেছে এবং দেশের অধিকার অর্জন করেছে, তবে প্রস্তুতি ও যুক্তিসঙ্গত প্রক্রিয়া নিশ্চিত না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। তিনি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন যে, বিদেশি শুল্ক সুবিধা, ব্যাংকখাতে চাপ, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ও রপ্তানি মন্থর হওয়ার মতো সমস্যা মোকাবেলায় জনপরামর্শ ও গণতান্ত্রিক বৈধতা অপরিহার্য।
তারেক রহমান আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর এবং জাতীয় সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তও নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত। অনির্বাচিত সরকার এমন কৌশলগত অঙ্গীকার নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ তাদের অধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুযোগ পাবার জন্য ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, জনপরামর্শ ও নির্বাচিত সরকারের জবাবদিহিতাই দেশের দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল ভিত্তি। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় স্বার্থ ও মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাননিউজ/এও