ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে সোমবার উদ্বোধন করা ই-পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থায় ভোগান্তি এবং দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে, পাশাপাশি সময়ও বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সবচেয়ে বড় অফিস হলো হোয়াটসঅ্যাপ। তিনি হোয়াটসঅ্যাপেই বেশি কাজ করেন। কাজেই আমাদেরও ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগোতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদেরকে ধন্যবাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই; কেবল এটাকে সন্তানের মতো দেখাশোনা করুন।”
ড. আসিফ জানান, আইন মন্ত্রণালয়ে ২১টি রিফর্ম করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, পরবর্তী সরকার এগুলোকে অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, “বিনা পয়সায় লিগ্যাল এইডে গিয়ে বিচার পাওয়া যাবে। পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক করেছি। বর্তমানে ২০টি জেলায় চালু আছে, শিগগিরই ৬৪টি জেলায় সম্প্রসারণ করা হবে। আশা করি, ৫ বছরের মধ্যে মামলার জট ৫০ শতাংশ কমে যাবে।”
আইন উপদেষ্টা আরও সতর্ক করেন, “সিঙ্গাপুরকে সংস্কার করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউর ১০ বছর লেগেছে। সংস্কার রাতারাতি সম্ভব নয়। যা দেশের মানুষ গ্রহণ করতে পারবে না, সেই সংস্কার করার চেষ্টা রাষ্ট্রকাঠামো দুর্বল করতে পারে। তাই সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী হওয়া জরুরি।”
ই-পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে মামলার প্রক্রিয়া ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হবে। এটি ভোগান্তি কমানো, দরিদ্র জনগণকে বিনা খরচে বিচার সেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সময় সাশ্রয় করবে। বিশেষ করে পারিবারিক ও নাগরিক বিরোধের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ড. আসিফ জানান, “মোবাইল ও অনলাইন পদ্ধতিতে নথি যাচাই, শুনানি এবং প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করা সম্ভব, যার ফলে আদালতে বারবার যাতায়াতের ঝামেলা কমবে এবং পক্ষের সময়ও বাঁচবে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের বিচারব্যবস্থায় এ ধরনের ডিজিটাল উদ্ভাবন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হলে, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায়প্রাপ্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সাননিউজ/এও