ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে বিস্ফোরক আইনে বোয়ালমারী থানায় মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। দায়ের করা মামলা দুটির একটিতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আসামি হিসেবে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে। এ মামলার বাদী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবু বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় ১৮৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ২০০-২৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী মজিবুর রহমান বাবু উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর অনুসারী।
মজিবুর রহমান বাবুর দায়ের করা মামলায় বোয়ালমারীর পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—
গুনবহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম (৬ নম্বর আসামি),
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ (মামলার ২২ নম্বর আসামি),
সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু (১১২ নম্বর আসামি),
দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশা (১১৩ নম্বর আসামি) এবং
রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়া (১৫০ নম্বর আসামি)।
উল্লেখ্য, কামাল আহমেদ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বোয়ালমারীতে বিএনপির বিবদমান খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের সমর্থকদের পৃথক কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষেরই অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় আশপাশের ৮-১০টি দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়।
পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম ও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এক মামলার বাদী চেয়ারম্যানদের আসামি করেছে। মামলার তদন্ত শেষে সবকিছু জানা যাবে।”
সাননিউজ/আরপি