১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, আল বদর, আল শামস তাদের কোনো ক্ষমা নেই। তারা মাটির শত্রু, এই দেশের মানুষের শত্রু, বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির রাজাপুরে বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবর্ধনা ও নবীন বরন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের পরে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করেছে। ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, আল বদর, আল শামস তাদের কোনো ক্ষমা নেই। তারাই মাটির শত্রু, এই দেশের মানুষের শত্রু। পাকিস্তানিদের হাতে আমাদের মা-বোনদের তুলে দিয়েছে। খুন-হত্যা চালিয়েছে। তাই এদেরকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসলামের নামে তারা মানুষের মগজ ধোলাই করে চলছে। তারা জান্নাতের সার্টিফিকেট দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত ২৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের সম্পদ লুট করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সর্বহারা মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল সিরাজ শিকদার। আওয়ামী লীগ সিরাজ শিকদারকে হত্যা করে বাংলাদেশে প্রথম বিচারবহির্ভূত হত্যার সূচনা করেছিল। দেশে তখন লঙ্গরখানা চালু ছিল। আওয়ামী লীগ লবণ চুরি করেছিল। খাদ্যের অভাবে মানুষ কুকুরের সঙ্গে খাবার খেয়েছে। শেখ মুজিব বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল। পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, বিএনপি আমলের পদ্মা সেতুর ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আওয়ামী লীগের আমলে হাসিনা ৪০ হাজার কোটি করে টাকা চুরি করেছে। বিএনপি এ দেশের মানুষকে ভালোবাসে, দেশের মানুষের সাথে আছে, ভালো কাজের সাথে আছে। তাই আগামী নির্বাচনে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে।
আনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হক নান্টু, রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম, রাজাপুর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন বাচ্চু, বড়ইয়া ইউনিয়ন শাখার বিএনপির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ ফারুক, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ পারভেজ, সদস্য সচিব সৈয়দ নাজমুল হক, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান খান পনির, তরিকুল ইসলাম তরুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রতন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রিয়াজ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাব্বি, সদস্য সচিব রফিক মৃধা।
আরও উপস্থিত ছিলেন, আবদুস সালাম সিকদার তোতা, গোলাম বাদল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার, সুমন হাওলাদারসহ বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা মণ্ডলী, ছাত্রী-ছাত্রীরা এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলা, উপজেলা সহ বড়ইয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
সাননিউজ/আরপি