লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রত্যেক মানুষের কছে সম্মানিত হওয়া একটি গর্বের বিষয়। সম্মান টাকা দিয়ে কেনা যা না। ব্যক্তিত্বই বয়ে আনে সম্মান। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক হতে পারে। তারা সহজেই অন্যের প্রশংসার পাত্র হয়ে ওঠেন এবং সম্মানিত হন।
আরও পড়ুন : কাঁচা আমের শরবত
সম্মানিত ব্যক্তিরা সহানুভূতিশীল, ধৈর্যশীল এবং খুব শান্ত স্বভাবের হন। তারা অন্যকে দ্রুত বিচার করে না। বরং যেকোনো বিষয়ে মতামত দেওয়ার আগে সময় নেয় এবং এমন একটি সিদ্ধান্তে আসে যা সবার জন্য ভালো। এ ধরনের মানুষের কণ্ঠস্বরেই যেন জাদু থাকে, তারা কেবল কয়েকটি কথা বলেই হলভর্তি মানুষকে মুগ্ধ করতে পারেন। এ প্রতিবেদনে পাঁচটি বিশেষ গুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা মানুষকে অন্যের কাছে সম্মানিত করে তোলে :
মনোযোগী শ্রোতা : সম্মানিত ব্যক্তি মনোযোগ দিয়ে অন্যদের কথা শোনেন। বিপরীতের মানুষটি কী বলছেন, তার দিকে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। তারা অন্যের কথা বলার মধ্যের প্রশ্ন করে বিরক্ত করেন না। মন দিয়ে পুরোটা শুনে এরপর কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটি জানতে চান। তাদের এই মনোযোগী স্বভাবের কারণে তারা অন্যের কাছে সম্মানিত হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন : গলা শুকানো কঠিন রোগের ইঙ্গিত
বিনয়ী : সম্মানিত ব্যক্তি খুব বিনয়ী হন। তাদের একটি আদর্শ ব্যক্তিত্ব থাকে। তারা মনে করেন না যে, তারা অন্য কারো চেয়ে ভালো এবং সবসময় অন্যদের কাছ থেকে শেখার জন্য উৎসাহী থাকেন। তারা তাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেন এবং কোনোকিছু সম্পর্কে জানা না থাকলে খুব সহজেই অন্যদের কাছে সাহায্য চান। তাদের মনে কখনো ছোট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
সহমর্মিতা : এ ধরনের মানুষ অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তারা অন্যের কষ্ট এবং ব্যথা অনুভব করার চেষ্টা করে। তারা সহজেই কাউকে বিচার করতে যান না এবং মানুষের পরিস্থিতি বিবেচনা করেন। তারা সহানুভূতিশীল এবং অন্যদের প্রতি দয়াশীল। মানুষকে বুঝতে চেষ্টা করেন। এই বৈশিষ্ট্য তাদের সবার মধ্যে সম্মানিত করে তোলে।
মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলা : এ ধরনের ব্যক্তি সব সময় অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলেন। তারা বিনয়ী এবং নিরহংকারী হন। এমনকী কখনো কারও কথার সঙ্গে দ্বিমত হলেও তারা কঠোর ভাষা ব্যবহার করেন না। তারা অন্যের মনে কষ্ট না দিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেন। তারা খুব বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন : শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে করণীয়
নির্ভরযোগ্যতা : মানুষেরা এ ধরনের ব্যক্তির ওপর নির্দ্বিধায় আস্থা রাখতে পারেন। কারণ তারা খুবই নির্ভরযোগ্য হয়ে থাকেন। তারা কথা দিলে কথা রাখেন। তাই তারা কোনোকিছু নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলে মানুষেরা সহজেই বিশ্বাস করেন। কারণ এ ধরনের ব্যক্তি সব সময় অন্যকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকেন।
সান নিউজ/জেএইচ