আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় হামলায় পাকিস্তানজুড়ে গ্রেফতার অভিযান এবং তার জেরে একের পর এক নেতা-কর্মীর দলত্যাগে ব্যাপক চাপে থাকা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশের সরকারের সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন : ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
শুক্রবার (২৬ মে) ইউটিউব লাইভে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘আমি (সরকারের সঙ্গে) আলোচনায় বসতে চাই এবং তা যত দ্রুত হয় ততই মঙ্গল। পাকিস্তান নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে এবং বর্তমানে দেশে যা চলছে, তা কোনো সমাধান তো নয়ই, উল্টো দেশকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ের পর সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়েই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং তার মধ্যেই গতবছর পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন পিটিআই চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন : সৌদি পৌঁছেছেন ১৯ হাজার যাত্রী
ক্ষমতা হারানোর জন্য ইমরান খান বরাবরই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ জেনারেলকে দায়ী করেছেন। তবে দেশটির ক্ষমতা কাঠামোর শীর্ষে থাকা সামরিক বাহিনী বরাবরই তার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গত ৯ মে আলোচিত আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে ইমরান খানের গ্রেফতারের পর তার দল পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং সেই বিক্ষোভে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন সেনানিবাস ও সেনাদপ্তরে হামলা হয়।
আরও পড়ুন : ঢাকা-বেইজিং বৈঠক আজ
এই ঘটনার পর হামলায় সংশ্লিষ্টদের ধরতে দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সামরিক বাহিনী। এর মধ্যেই গত কয়েক দিন ধরে পিটিআই ত্যাগ করছেন একের পর এক শীর্ষ ও মধ্যমসারির নেতা। গ্রেপ্তারের আতঙ্কে অনেক কর্মী-সমর্থকও গা-ঢাকা দিয়েছেন।
সান নিউজ/এমআর