আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে উত্তরপশ্চিমের আরদাবিলের সাতটি ও রাজধানী তেহরানের তিনটি স্কুলে বিষাক্ত গ্যাস হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০০ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ধর্মঘট নিষিদ্ধ করল শ্রীলঙ্কা
বুধবার (১ মার্চ) বিদ্যালয়গুলোতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
দেশটির বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির বরাতে জানা যায়, আরদাবিলের ১০৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাছাড়া, তেহরানে অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীরাও এখন সুস্থ।
এদিকে, বুধবার ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী গ্যাস হামলার প্রথম ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে। জানা যায়, গত নভেম্বরে মেয়েদের স্কুলে রহস্যজনক গ্যাস হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
দেশটির সংসদের স্বাস্থ্য কমিটির মুখপাত্র জাহরা শেখি বলেন, তেহরানের দক্ষিণের পবিত্র শহর কওমে প্রায় ৮০০ ও পশ্চিমের বোরুজার্দ শহরে ৪০০ ছাত্রীর ওপর বিষাক্ত গ্যাস হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। কওমের স্কুলগুলোতে পাওয়া পদার্থ পরীক্ষা করে নাইট্রোজেনের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: চীনের ল্যাবেই করোনার সূচনা
তবে, ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদিকে এ ঘটনা তদন্ত ও সব ফলাফল প্রকাশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াহিদি বলেন, গ্যাস হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের যে প্রতিবেদন ফার্স থেকে করা হয়েছে, তা মিথ্যা। তাছাড়া হামলায় ব্যবহৃত গ্যাসে একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ শনাক্তের তথ্যও ভুল।
ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি বলেছিলেন, মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করার লক্ষ্যে একটি চক্র কওমের কিছু ছাত্রীর ওপর গ্যাস প্রয়োগ করেছে।
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এ ধরনের কাজ আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান ও আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের কর্মকাণ্ডের সমতুল্য। এ দুটি গোষ্ঠী নারীশিক্ষার ঘোর বিরোধী।
সানি নিউজ/আর/এইচএন