সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

ধর্মঘট নিষিদ্ধ করল শ্রীলঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বাড়ায় বেশ কয়েকটি প্রধান সেক্টরে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।

আরও পড়ুন : নাইজেরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন তিনুবু

বুধবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত ব্যাপক উচ্চ কর এবং ইউটিলিটি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কান ইউনিয়নগুলোর একদিনের জাতীয় ধর্মঘট শুরুর একদিন আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের প্রতি শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে কারণ তার সরকার ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে এবং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পর আইএমএফের ঋণ পেতে মানুষের ওপর করও বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন : বিমা কোম্পানির বদনাম হোক, চাই না

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ব্যাংক কর্মচারী এবং সরকারি হাসপাতালের কর্মচারীসহ শ্রীলঙ্কার ৪০ টিরও বেশি ট্রেড ইউনিয়ন জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে করের হার দ্বিগুণ করার প্রতিবাদে তারা বুধবার কাজ করবে না।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছে, ‘প্রয়োজনীয় পরিষেবা’ চালু রাখা সংক্রান্ত আদেশ জারির জন্য প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। এর ফলে ট্রেড ইউনিয়নের পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডকে কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গণপরিবহন, খাদ্য বা কয়লা, তেল, জ্বালানি সরবরাহ, সড়ক, রেল বা আকাশপথে পরিবহনের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধাসহ বিমানবন্দর, বন্দর এবং রেললাইনগুলোকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পরিষেবা হিসাবে ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে।’

আরও পড়ুন : আজ অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন

প্রয়োজনীয় পরিষেবা সংক্রান্ত এই আদেশ কেউ অমান্য করলে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলেও এতে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিক্রমাসিংহে সরকারের এই আদেশ সত্ত্বেও তা অমান্য করে বুধবার নিজেদের নির্ধারিত ধর্মঘট পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ট্রেড ইউনিয়নগুলো।

শ্রীলঙ্কার টিচার্স ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য জোসেফ স্ট্যালিন জানিয়েছেন, ট্রেড ইউনিয়নগুলো ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু রাখা সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : অনেক জঙ্গিকে খুঁজে বের করেছি

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এত কঠিন অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা। সংকট কাটাতে এবং অর্থনীতিকে আবারো দাঁড় করাতে আইএমএফের কাছে জরুরিভিত্তিতে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সরকার। কিন্তু ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে কিছু শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। ধারনা করা হচ্ছে, এর জেরেই ব্যয় কমানোর পাশাপাশি মানুষের ওপর কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

সান নিউজ/জেএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মোহিতলাল মজুমদার’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, আমার বক্...

বিটিভি ভবন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দ...

ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নিহত ৩০ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০...

ভারতের কাছে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক : নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের সঙ্গে ১...

পর্যটকশূন্য রাঙামাটি

জেলা প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের জেরে দেশে সৃষ্ট...

হামলা থেকে বাঁচতে কারাগারে গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের সেনাদের টানা কয়েকদিনের বোমার হা...

চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলার আ...

আজ ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকাসহ ৪ জেলায়...

ইসরাফিল আলম’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা