আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পের পর এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৮০ ঘণ্টার বেশি। এখনো শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া মানুষদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহর হবে যানজটমুক্ত
এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে তুরস্কে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ১৪ জন। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ১৬২ জন। ফলে দুই দেশ মিলিয়ে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১৭৬ জন। খবর আল-জাজিরার।
তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পরে আঘাত হানে আরও শতাধিক আফটারশক।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৪
জানা গেছে, ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির হাতেয় প্রদেশ। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ ভবন ধসে পড়েছে। শুধুমাত্র হাতেয় প্রদেশেই নিহতের সংখ্যা ৩৩০০ জন। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রদেশটির উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে যান। সেখানে সবাইকে উদ্ধার করা হবে বলে প্রতিশ্রতি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা
পরিদর্শনকালে ধীরগতির উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। আর এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি নেওয়া অসম্ভব।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, তিন দিন কেটে যাওয়ায় পরেও ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও যারা আটকে আছেন তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: বেলজিয়ামের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি
যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ স্টেভেন গোডবে জানান, ‘দুর্যোগের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে ৭৪ শতাংশ।
তিন দিন পর এটি নেমে আসে ২২ শতাংশে। আর পঞ্চম দিনে আহত বা ক্ষতিগ্রস্তের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৬ শতাংশে চলে আসে। তা সত্ত্বেও এখনই আশা ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
সান নিউজ/এমআর