আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরমানুশক্তিধর চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিপরীতে এক ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের অনুরোধ জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে বলেন, পূর্ব এশিয়া পরবর্তী ইউক্রেন হতে পারে।
আরও পড়ুন : ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর যোগ্যতা রয়েছে মমতার
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, গ্রুপ অফ সেভেন (জি-সেভেন) -এর প্রধান হিসেবে জাপানের দায়িত্ব পালনের বছরটি আরম্ভ করতে জার্মান ব্যতিত এই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত বাকি সবগুলো দেশ সফর করেন। শিগগিরই জার্মানিতেও সফরের পরিকল্পনা রয়েছে কিশিদার ।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে নিজের সফরের ইতি টেনে কিশিদা বলেন, পূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিবেশ সংক্রান্ত সঙ্কটের বিষয়ে ‘তার জোরালো অনুভূতিটি’ জি-সেভেন নেতাদের জানান তিনি।
আরও পড়ুন : রিসোর্টে ১৪ ফুটের কুমির!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাতের এক দিন পর এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন আগামী দিনের পূর্ব এশিয়া হয়ে উঠতে পারে। এ সময়ে এই দুই অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগগুলোকে ‘অবিচ্ছেদ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
ফুমিও কিশিদা বলেন, পূর্ব চীন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে এককভাবে শক্তি প্রয়োগ করে ভারসাম্য পরিবর্তনের চেষ্টা এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালুর মাধ্যমে জাপানের আশপাশের পরিস্থিতি ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুতর হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন : পবিত্র স্থানগুলোর স্থিতাবস্থা রক্ষার আহ্বান
এর মাধ্যমে আশপাশের সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান জোর খাটানোর বিষয়টির কথা উল্লেখ করেছেন কিশিদা। ওই সাগরের এলাকাগুলোতে চীনের জাপান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সাথে বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে দ্বন্দ্বও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে জাপানের সাগরের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করে চীন। এটি তাইওয়ানের আশপাশে চীনের সামরিক মহড়ার একটি অংশ ছিল।
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ১০
তাইওয়ান একটি স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ, যাকে চীন নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
সান নিউজ/এইচএন