আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রভাব অর্জনের লক্ষ্যে ইউরোপের ২৭ দেশের সংস্থা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের (ইপি) সদস্যদের কাতারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই অভিযোগে পার্লামেন্টের একজন ভাইস-প্রেসিডেন্টসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন ইইউর পার্লামেন্টের সদস্যদের ঘুষ গ্রহণের এই অভিযোগকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবে বেলজিয়াম পুলিশ গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গ্রীক সমাজতান্ত্রিক এমইপি ইভা কাইলিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট। এসময় বাকী তিনজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ-পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশী অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থও উদ্ধার করা হয়।অভিযোগের গুরুত্ব ও মাত্রা দেখে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের অনেক সদস্য হতবাক হয়ে গেছেন বলে জানান বিবিসির সংবাদদাতা। অনেকে বলছেন, এটি হয়তো ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির কেলেংকারির অন্যতম হতে যাচ্ছে।
গ্রীক রাজনীতিক ইভা কাইলির বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তাকে তার বাড়িতে বস্তাভর্তি অর্থসহ ধরা হয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এক বিতর্কে কাতারকে সমর্থন করার জন্য তিনি ওই অর্থ পেয়েছেন।
তবে কাতারের সরকার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের ঘুষ দেয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাইলির দায়িত্বের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তিনি অতীতে কাতারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এর আগে শুক্রবার বেলজিয়ামের ফেডারেল প্রসিকিউটর রাজধানী ব্রাসেলসে ১৬টি স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ ইউরো বাজেয়াপ্ত করে, তা ছাড়া কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চীন ও ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষ
ইভা কাইলি আট বছর ধরে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন এবং এ ঘটনার পর তাকে পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া পার্লামেন্টের সোশালিস্ট-ডেমোক্র্যাট গ্রুপ এবং গ্রিসের মধ্য-বাম পাসোক পার্টি থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং কাইলির সকল সম্পদ ফ্রিজ করেছেন বলেও জানা গেছে।
সান নিউজ/এসআই