সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি সীমিত করার চেষ্টা করার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো নিজেরাই নিজেদের মাথায় গুলি চালাচ্ছে। অথচ এই সময় চীন রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী বরখাস্ত
বুধবার (১৫ জুন) রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মারিয়া বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দেশটিতে আক্রমণের শাস্তিস্বরূপ রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমাদের চেষ্টা কৃষিপণ্য, ভোজ্যতেল, সার এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করেছে। আর ইউরোপ রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছে। চীনের সঙ্গে রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদারিত্বের মধ্যেও বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন পশ্চিমারা। এ চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি সরবরাহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন জানে তারা কী চায়। তারা নিজেরা নিজেদের পায়ে গুলি করছে না। অন্যদিকে পশ্চিমারা নিজেরাই নিজেদের মাথায় গুলি চালাচ্ছে। পশ্চিমারা আমাদের থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
সৌদি আরবের পর রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক। এ ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারকও মস্কো।
আরও পড়ুন: শিগগির বুস্টার ডোজ নিন
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে