সান নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে রুশ সেনাদের পুরোপুরি ‘হটিয়ে’ দেওয়ার দাবি করেছেন দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার।
আরও পড়ুন: কাশ্মিরে বিয়ের গাড়ি খাদে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু
তিনি বলেছেন, কিয়েভ এখন পুরোপুরি ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে। শনিবার (২ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেছেন।
হান্না মালিয়ার লিখেছেন, ‘আক্রমণকারীদের কাছ থেকে ইরপিন, বুচা, গোস্তমেল ও পুরো কিয়েভ মুক্ত হয়েছে।’ তবে ইউক্রেনীয়দের এখনই নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে হামলার মুখে পড়া বাড়িঘরে ফিরতে নিষেধ করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাতে এমন খবর জানিয়েছে। তবে বিবিসি তাৎক্ষণি এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বলে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে, কয়েকদিন ধরে কিয়েভ ও এর আশপাশের শহর থেকে রুশ সেনাদের সরে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। দুটি কারণে রুশ সেনারা সরে যেতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষণকারীরা।
প্রথমত- ইউক্রেনের সেনাদের মনোবল চাঙা থাকা এবং প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা। দ্বিতীয়ত- রুশ সেনারা এখন ডানবাস দখলে বেশি মনোযোগী হয়েছেন। ফলে কিয়েভ থেকে সেনা গুটিয়ে নিচ্ছেন তারা। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হচ্ছে, তারা রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেছেন, অল্প অল্প করে হলেও ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহর ছেড়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। তবে যাওয়ার সময় তারা বাড়িঘর এমনকি হত্যার শিকার মানুষদের মরদেহগুলোও বোমা মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে।
শনিবার (২ এপ্রিল) ভোরে তিনি এক বক্তব্যে এ কথা বলেন। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য রাশিয়ার গ্যাস পাবে না
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৬টার (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার) আগেই যুদ্ধবিরতিকে ‘নিঃশর্তভাবে সম্মান’ করার বিষয়টি রুশ কর্তৃপক্ষ, ইউএনএইচসিআর, আইসিআরসি-কে লিখিতভাবে জানাতেও কিয়েভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে