সান নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে এক হয়েছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। তবে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করলেন দেশটির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট স্থগিত
দেশটির ডেপুটি স্পিকার রোববার (৩ এপ্রিল) বলেন, পাকিস্তানের সংবিধানের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটি অবৈধ। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট শুরু হওয়ার আগে বিক্ষোভ, জমায়েত বন্ধ করতে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরেও।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান নিয়াজি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক। খেলোয়াড় জীবন শেষে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে।
১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৯৬ সালে রাজনীতির ময়দানে আসেন ইমরান খান। দুর্নীতি বিরোধী স্লোগানে ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পরের বছর ১৯৯৭ সালে তিনি নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ালেও দুটিতেই হেরে যান। তবুও থেমে যান নি তিনি। ২০০২ সালে নির্বাচনে জয়ী হন ইমরান খান।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টারা পুতিনকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে
২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ তৎকালীন সেনা প্রধানের পদে থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন। ইমরান খান ওই নির্বাচনের বিরোধিতা করে ওই বছরের ২ অক্টোবর ৮৫ জন পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথে পদত্যাগ করেন। সে বারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করে। ইমরান খানকে গৃহবন্দী করা হয়। ওইসময় তিনি কিছুদিন হাজতবাসও করার পর মুক্তি পান।
২০১৩ সালে পাকিস্তানের ১০তম নির্বাচনে তার দল দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আসন জেতে। আর ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১১ তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তার দল আসন সংখ্যার বিচারে সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হয়। তিনি ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
সান নিউজ/এনকে