সান নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লিভভ শহরে সামরিক ঘাঁটিতে রুশ বাহিনীর হামলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন।
আরও পড়ুন: ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে
লিভভ অঞ্চলের গভর্নর মাকসিম কোজিস্কির বরাত দিয়ে রোববার (১৩ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্রে (আইপিএসসি) নামের এই সামরিক ঘাঁটিতে রুশ সেনারা ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে বলেও জানিয়েছেন লভিভের গভর্নর। এর আগে রোববার রুশ সেনারা সেখানে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল বলে জানা গিয়েছিল।
ইউক্রেন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্রে (আইপিএসসি) বিদেশি সামরিক প্রশিক্ষকরা কাজ করছেন। কেন্দ্রটি লভিভ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ইয়াভোরিভ জেলায় অবস্থিত এবং এটি একটি সামরিক প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।
হামলার পর জানানো প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বলেছেন, রাশিয়ার আক্রমণ করা পশ্চিম ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে বিদেশি সামরিক প্রশিক্ষকরা কাজ করছেন। হামলায় হতাহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলার পর ওই সামরিক ঘাঁটিতে ১৯টি অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দেখেছেন তিনি। এছাড়া টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ন্যাটো সীমান্তের কাছে শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর এটি নতুন সন্ত্রাসী হামলা। বার্তাসংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলা
এদিকে, ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজতে শোনা গেছে। ইউক্রেনে হামলা আরও জোরালো করেছে রাশিয়া। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক লড়াই চলছে। কিয়েভে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কিয়েভে হামলার প্রতিরোধের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে