সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজতে শোনা গেছে। ইউক্রেনে হামলা আরও জোরালো করেছে রাশিয়া। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান জেলেনস্কি
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক লড়াই চলছে। কিয়েভে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কিয়েভে হামলার প্রতিরোধের হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
এদিকে খারকিভ, চেহেরনিভ, সুমি ও মারিওপোলের মতো শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী। তারা শহরগুলোতে ব্যাপক বোমা হামলা চালাচ্ছে। ঝিতোমির, কিয়েভে পশ্চিমাঞ্চল, তারনোপিল, রিভ এবং ইভানো ফাঙ্কিভস্ক এলাকায় এ সাইরেন শোনা গেছে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগের এক বার্তায় বলা হয়, শত্রুরা লুহানস্ক অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। সব কিছু ইউক্রেনের থাকবে।
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজার মধ্যেই গোলাবর্ষণের এ খবর এলো।
কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট এক অনলাইন পোস্টে জানায়, ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই এখন বিমান হামলার সতর্কসংকেত শোনা যাচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের মধ্যে শুক্রবার ৫০০ থেকে ৬০০ সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।
চলমান যুদ্ধ নিয়ে কিয়েভে শনিবার (১২ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানান তিনি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঝরল ৬১ প্রাণ
এর আগে জেলেনস্কি রুশ সেনাদের সতর্ক করে বলেন, রুশ সেনারা জনগণের মন ও মগজ দখল করতে পারবে না। আর শহরগুলোর দখলও সাময়িক, চিরদিনের জন্য না। আমি এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ৩০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমা সূত্রগুলো শুক্রবার দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার আনুমানিক ছয় হাজার সেনা নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের ১৮তম দিন চলছে। আজ ইউক্রেনের প্রায় সব শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হচ্ছে।
সান নিউজ/এনকে