আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা থামানোর জন্য জরুরি আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফোনালাপ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগ্লোর সঙ্গে।
দুই দেশের শীর্ষ দুই কূটনীতিক এ সময় রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগ্লো বিলঙ্কনকে বলেন, তুরস্ক প্রথম থেকেই বলে আসছে, রাশিয়ার এ আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী। তুরস্ক সবসময় ইউক্রেনের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং দ্রুত রাশিয়ার সামরিক হামলা বন্ধের দাবি জানায় আঙ্কারা।
আরও পড়ুন: আমি ও আমার পরিবার তাদের টার্গেট
এ সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা ন্যাটোর অঞ্চলের প্রত্যেক ইঞ্চি রক্ষা করব। আমি মনে করি, ইউক্রেনে আক্রমণ চালানো প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে এটাই বড় প্রতিরোধক।
পরিস্থিতি যদি আরও খারাপের দিকে যায় তবে পুতিনকে লক্ষ্য করে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন ব্লিঙ্কেন।
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আক্রমণ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে বলছে, পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার অন্তত ৫০ দখলদার সৈন্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এক বিবৃতি জানিয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে চারটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এছাড়া, বিচ্ছিন্নতাবাদী লুহানস্ক অঞ্চলের একটি শহরে ৫০ রুশ সেনাকে হত্যা এবং ছয়টি সামরিক আকাশযান ধ্বংস করা হয়েছে। এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর হামলায় তাদের তিন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন।
সান নিউজ/এনকে