আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পুনরায় ক্ষমতায় আসা সত্ত্বেও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দেশটিতে ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমাপ্তি টানার একদিন পরে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে জো বাইডেন বলেছেন, সেখানে আরও সময় ধরে (যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর) থাকা কোন সমাধান নয়।
জো বাইডেন বলেছেন, এই চিরস্থায়ী যুদ্ধ আমি আর বাড়াবো না এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময়সীমাও আর বাড়বে না। আফগানিস্তান যুদ্ধ এখন শেষ।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কর্তৃত্ব থেকে পালিয়ে আসতে চাওয়া ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে বিমানে করে সরিয়ে আনায় তিনি সৈন্যদের প্রশংসাও করেছেন।
সেখানে আটকে পড়া প্রায় ২০০ আমেরিকান নাগরিকদের উদ্ধার করে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর সদস্যরা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর উৎসব করতে শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা একে নিজেদের ‘বিজয়’ বলে বর্ণনা করছে।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী। টুইন টাওয়ারে হামলার জন্য দায়ী আল-কায়েদা তখন দেশটিতে অবস্থান নিয়েছিল।
আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলভাবে সেনা প্রত্যাহারের কারণে দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই সেনা প্রত্যাহারের ফলে বহুদিন ধরে প্রশিক্ষণ ও তহবিল দিয়ে আসা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীও ভেঙ্গে পড়ে।
মাত্র ১১ দিনে পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ১৫ই অগাস্ট তারা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেছে।
আফগানিস্তানে রয়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ ও আফগান নাগরিককে উদ্ধার করে নিয়ে আসার ব্যাপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শীর্ষ সদস্যদের মধ্যে কাতারের দোহায় এই আলোচনা চলছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদেশের এমপিদের জানিয়েছেন যে, আফগানিস্তানে রয়ে যাওয়া ১৫০-২৫০ জন ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে আনা দরকার।
আফগানিস্তান থেকে কেউ চলে যেতে চাইলে তাদের আরও সুযোগ দেয়া হবে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এমন ঘোষণার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ