আন্তর্জাতিক

৬০ হাজার বেতন পেয়েও ভিক্ষা করেন তিনি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পেশায় তিনি সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। তার মাসিক বেতন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। তারপরেও টাকা জামানো নেশা তার। তাই শহরে বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন তিনি। সম্প্রতি তাকে ভিক্ষুক ভেবে উদ্ধার করে ভবঘুরেদের রাত্রিনিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন! ওই ব্যক্তির স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী টাকা জমানোর নেশায় দীর্ঘদিন ভিক্ষা করছেন। তবে তিনি বাড়িতে কোনো টাকা দেন না। সব ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন। ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জেলার বাঁকুড়া শহরের।

সূত্র জানায়, কাঁচা-পাকা চুল। গালের খোঁচা দাড়ি ঢাকা ময়লা মাস্কে। কনুই পর্যন্ত গোটানো কালো চিটে পড়া সাদা শার্ট। ততধিক ময়লা, হাঁটু পর্যন্ত গোটানো প্যান্ট। সঙ্গে লাঠি আর নাইলনের ব্যাগ। তাতে রাখা এনামেলের বাটি, কিছু ময়লা, ছেঁড়া পোশাক।

গত শুক্রবার গভীর রাতে বাঁকুড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চত্বর থেকে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন বাঁকুড়া পৌরসভার ভবঘুরেদের রাত্রিনিবাস পরিচালনাকারী সংস্থার কর্মীরা।

সেখানে প্রাথমিকভাবে ভিক্ষুক হিসেবে নিজের নাম-পরিচয় লেখান তিনি। কিন্তু গত রবিবার তিনি সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য জোরাজোরি শুরু করেন। রাত্রিনিবাসের কর্মীদের দাবি, তাদের কাছে তিনি স্বীকার করেন সরকারি হাসপাতালের কর্মী।

তার নাম-পরিচয়ও আলাদা। হাসপাতালের কাজে যোগ দিতে চেয়ে তিনি আবেদন করায় গত মঙ্গলবার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পুরো ঘটনাটি পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছে ভবঘুরেদের ভবন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা।

বাঁকুড়া পৌরসভার সদস্য দিলীপ আগরওয়াল ও পৌরসভার ভবঘুরেদের রাত্রিনিবাস পরিচালনকারী সংস্থার সম্পাদক অরুণ সিংহ বলেন, 'ভিক্ষুক পরিচয় পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও গত রবিবার ওই ব্যক্তি ছাড়া পাওয়ার জন্য জেদাজেদি করায় সন্দেহ হয়। উনি সরকারি কর্মী শুনে আমরা তাজ্জব!'

এদিকে ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা জানান, ছেঁড়া ও নোংরা পোশাক পরলেও হাসপাতালে নিয়মিত যান তিনি। এক সহকর্মী বলেন, 'আমরাও তাকে স্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে ভিক্ষা করতে দেখেছি বহু দিন। নিষেধ করলে বলেন, 'চাকরি করলে ভিক্ষা করা যাবে না, এমন নিয়ম আছে নাকি?'

স্বামীর ভিক্ষা করার বিষয়ে তার স্ত্রী বলেন, 'বিয়ের পরেই জানতে পারি, টাকা জমানোর নেশাতেই চাকরির বাইরেও ভিক্ষা করেন স্বামী। শুনেছি, দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটিতে বছর চারেক আগে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ছিল বলে মনে পড়ে। এখন হয়তো কোটি টাকা হয়ে গিয়েছে। তবে উনি আমাকে কানাকড়িও দেন না। বাপের বাড়ির আর্থিক সাহায্যে কোনোমতে একমাত্র মেয়েকে মানুষ করছি।'

ওই বৃদ্ধ যে হাসপাতালের কর্মী তার সুপার সুনীলকুমার সিংহ বলেন, ‘ওই ব্যক্তির পরিবার নানা অভিযোগ করেছেন। দেখছি, কী করা যায়।’

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তার মন্তব্য, ‘ভুয়া আইপিএস, ভুয়া টিকা-কাণ্ডের পরে এবার ভুয়া ভিক্ষাজীবী- ভাবা যাচ্ছে না!’

সূত্র : আনন্দবাজার

সাননিউজ /এএসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

দেব–শুভশ্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়

দীর্ঘ বিরতির পর সাবেক প্রেমিক জুটি দেব ও শুভশ্রী পর্দায়। কৌশিক গাঙ্গুলীর &lsq...

টাইব্রেকারে সুপার কাপ জয় পিএসজির

৮৪ মিনিট পর্যন্তও ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল পিএসজি। টটেনহাম বোধ হয় শিরোপায় এক হাত দ...

নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে, আশা ইসির

আগামী সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে পারব...

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক কাল

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আলোচনা করতে আগামীকাল শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা