স্বাস্থ্য

আইনের প্রয়োগ না থাকায় বাড়ছে সংক্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারীর এই নাজুক পরিস্থিতিতে সংক্রামক রোগ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় সংক্রমন বাড়ছে। সেই সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রধান ভূমিকায় না থাকা এবং পদক্ষেপে ধীরগতির কারণকে সংক্রমণ বাড়ার পিছনে দায়ি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আইন অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদও দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কখনো ঊর্ধ্বগতি, কখনো স্বস্তির আশা। দেশে কোভিড শনাক্তের পর এভাবেই কাটছে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে।

কোভিডের প্রথম ধাক্কায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের এপ্রিলে সংক্রামক রোগ আইনের ক্ষমতাবলে সারাদেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে পরবর্তীতে অনেক ক্ষেত্রেই আইনটি থেকেছে উপেক্ষিত।

সংক্রমিত এলাকা ঘোষণা, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ আইন প্রয়োগের ক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দেওয়া হলেও বাস্তবতা হলো, স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকছে কেবল সুপারিশেই। মাঠপর্যায়েও দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ছাপিয়ে মুখ্য ভূমিকায় দৃশ্যমান প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা।

কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধের মতো বৈজ্ঞানিক বিষয়ে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রাধান্য না দেওয়ার ফলে যথাসময়ে সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতি হচ্ছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আইনটির সঙ্গে একটা ব্যতয় ঘটে গেছে। আইনে আছে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) ও তার প্রতিনিধি। সেটা হতে পারে বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন। তাদেরকেই যদি ক্ষমতায়ন করা হতো, তাহলে সব কার্যক্রম ক্ষীপ্রতার সঙ্গে হতো এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ অনেকটা কার্যকর হতো।

কোভিড মোকাবিলায় সব বিভাগকেই সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শও দিয়েছেন জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যানের।

কোভিড-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, অনেক চিন্তাভাবনা করেই তো এই আইনটা সংসদে পাস হয়েছে। এই অতিমারির কিছু বিজ্ঞান সম্মত উপায় আছে, যেগুলো দিয়ে আমাকে মোকাবিলা করতে হবে। সেখানে বিজ্ঞান যেমন আছে আবার প্রশাসনও আছে। সুতরাং এক্ষেত্রে দুটোরই সমন্বয় হতে হবে।

ভারতে পাওয়া ডেল্টা ধরন বাংলাদেশেও শনাক্তের প্রভাবে সীমান্ত এলাকায় ছাপিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশেই আবারও ঊর্ধ্বমুখী কোভিড সংক্রমণ।

সান নিউজ/এমএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

চাঁদাবাজির ভিডিও ভাইরাল, এনসিপি নেতাকে শোকজ

চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধ করতে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ...

যান্ত্রিক ত্রুটিতে রোমে আটকা বিমান বাংলাদেশের বোয়িং

ইতালির রোমে আটকা পড়েছে বিমানের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।বিমানটিতে ২...

বাংলাদেশে জার্মানির নতুন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ

বাংলাদেশে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত...

নির্বাচন কমিশন অভিমুখী মিছিল থেকে রাহুল–প্রিয়াঙ্কা আটক

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও দলটির নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকে আটক...

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার ৪ সাংবাদিক নিহত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল–জাজিরার চার সাংবাদিক নিহত হয়েছেন...

ইভিএম বাতিল, ফিরছে ‘না’ ভোট

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম বাতিল করে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরি...

অবহেলায় শিক্ষা খাত, সংস্কারে কমিশনও করা হয়নি

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন হ...

ভোটের অধিকার বাস্তবায়ন না হওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক রহমান

স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চ...

ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মা...

রংপুরে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: আসক

রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলা এলাকায় ভ্যান চুরির সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা