ক্যাম্পাস প্রতিবেদক: ট্রাকের চাপায় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তাকে প্রত্যাহার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এ বিষয়ে রাবির জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ পান্ডে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের পদত্যাগ ছিল, উপাচার্য সেটি মেনে নিয়েছেন। তবে এখনো সেটি গেজেট হয়নি। বুধবারের মধ্যেই তা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে ট্রাকচালককে গ্রেফতার, লাইটের ব্যবস্থা, রাস্তার উন্নয়ন, বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ ও নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের সব দাবি উপাচার্য মেনে নিয়েছেন। সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন, তা নিয়ে আজ আবারও বসে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনের রাস্তায় ট্রাকচাপায় মাহমুদ হাসান হিমেল নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। হিমেল রাবির গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি বগুড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন হিমেল।
এদিকে হিমেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামেন। এ সময় তারা উপাচার্য এবং প্রক্টরের সাড়া না পেলে আরও বিক্ষুব্ধ হন। তারা ৬টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর উপাচার্য ভবনে হামলার চেষ্টাও করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে গিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুরও চালানো হয়। পরে রাত ২টার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে উপচার্যের আশ্বাসের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।
আরও পড়ুন: আরও ২ সপ্তাহ বাড়তে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি
নিহত হিমেলের বন্ধু কনিক ও স্মৃতি জানান, ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা হিমেলের মরদেহ ঘটনাস্থলের মধ্যে পড়ে ছিল। তবুও রাবি কর্তৃপক্ষ মরদেহ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এটি দুর্ঘটনা নয় একটি হত্যাকাণ্ড। প্রক্টর লিয়াকত আলীকে কয়েক দফায় ফোন করা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
সাননিউজ/এমএসএ