সান নিউজ ডেস্ক : কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন এক নারী। পঞ্চগড়ের একটি আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন ।
আরও পড়ুন : পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
গতকাল রবিবার (২০ মার্চ) মামলার হাজিরা দিতে গেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এসআই আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে জলিল বিধবা ঐ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা করিয়ে নিয়ে ঐ নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ সময় বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন।
পরে ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর জলিলের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ জানুয়ারি আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঐ এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি রবিবার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালে হাজির হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা পীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, এসআই জলিল ছুটিতে আছেন। তার মামলা-মোকদ্দমার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
সান নিউজ/এইচএন