নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার হন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই। তিনি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বান্ধবী হিসেবে আলোচিত।
চট্টগ্রামের খুলশীর মেয়ে নাহিদার বাবা কেরানী। তবে তিনি প্রায় শত কোটি টাকার মালিক। সবই হয়েছে এটা পিকে’র বান্ধবী হওয়ার কল্যাণে।
দুদকের অনুসন্ধানে তার ব্যাংক হিসাবে ৭২ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। পিকে’র বিভিন্ন অর্থিক অনিয়মের অন্যতম সুবিধাভোগী নাহিদা। ১৬১ ধারায় জবানবন্দিতে দুদকের কাছে তা স্বীকার করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক আনোয়ার প্রধানের কাছে নাহিদা জবানবন্দি দেন। দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নাহিদা জবানবন্দিতে জানান, পিকে সিন্ডিকেটের সদস্য ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ঋণ গ্রহীতা স্বপন কুমার মিস্ত্রির থেকে ১৫ কোটি টাকা কমিশন নেন তিনি। এই টাকা নিয়ে নামেন শেয়ার ব্যবসায়। পিকে’র নিদের্শেই অস্তিত্বহীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মর্টগেজ ছাড়া ব্যাংকিং নীতির বাইরে ঋণ দেওয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে নাহিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তিনি বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য দুদকের জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, এটি তদন্তাধীন বিষয়। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।
সাননিউজ/এমআর