নিজস্ব প্রতিবেদক : ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা সেই চামেলি শিকদারের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ সহকারী। তার বাড়ি উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের পল্লিবেড়া গ্রামে।
উপজেলা পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা রবিন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিবার কল্যাণ সহকারী চামেলি শিকদারের দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ পেয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি নোটিশের জবাব দেননি।
তিনি আরও জানান, তার অনুপস্থিতির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এর প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহ থেকে তার বেতন-ভাতা প্রদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
সম্প্রতি অভিযোগে জানা যায়, গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত চামেলী শিকদার। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই বেশিরভাগ সময় তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়ায় পরিবারসহ অবস্থান করেন। সেখানে তার বাড়ি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তদন্ত শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিমউদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার গেছে। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে চামেলীর স্বামী সুশান্ত শিকদার কাউলীবেড়া কাজী ওয়ালীউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। সুশান্তও কর্মস্থলে ছুটি না নিয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানান ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন। যদিও করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, কর্মস্থল থেকে ব্যবস্থা নেয়ার সংবাদ পেয়ে চামেলী দেশে এসেছেন। তবে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলেনি। মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে স্বামী সুশান্ত শিকদারের বক্তব্যও নেয়া সম্ভব হয়নি।
সান নিউজ/এমএইচ/এসএম