নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপার্জন করা টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে নিজের বাসায় লুকিয়ে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপাল বণিকের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ( ৪ নভেম্বর) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ নজরুল ইসলাম এই মামলায় পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রাখেন।
মামলা থেকে পার্থ গোপালের অব্যাহতি চেয়ে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতে বলেন, তিনি কোনো টাকা পাচার করেননি। অনুমানের ভিত্তিতে দায়ের করা মামলার বিচার শুরু হলে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আর্জি জানান।
পরে বিচারক অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করে দেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পার্থ গোপালের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।
অর্থাৎ তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপার্জন করা ৮০ লাখ টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে নিজের বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন মর্মে প্রমাণিত হয়। ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে কারা উপ-মহাপরিদর্শক হওয়ার পর পার্থ গোপাল বণিকের বেতন স্কেল হয় ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।
অভিযোগপত্রে বলা আরও হয়, তার বাসায় পাওয়া অর্থ বেতন স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি কোনো ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তোলেননি, কখনও সে অর্থ আয়কর বিবরণীতেও প্রদর্শন করেননি। বরখাস্ত হওয়ার আগে পার্থ গোপাল বণিক ছিলেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন্স)। গত বছর ২৯ জুলাই ধানমণ্ডির নর্থ রোডে (ভূতেরগলি) তার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করার পর তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
সান নিউজ/এসএ/এস