কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে পুড়ে আহত চালক মৃদুল মালো (২৫) মারা গেছেন। এতে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ জন।
আরও পড়ুন : অ্যাম্বুলেন্সে বিস্ফোরণে নিহত ৭
শনিবার (২৪ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা কেউ বেঁচে নেই।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর ছেলে মৃদুল মালো (২৫), বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজারের স্ত্রী তসলিমা বেগম (৫০), তসলিমা বেগমের মেয়ে বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের স্ত্রী কমলা (৩০), সেনাসদস্য মাহমুদের স্ত্রী বিউটি (২৬), নিহত কমলার তিন সন্তান আরিফ (১২), হাসিব (১০) ও আফসা (১) ও বিউটির ছেলে মেহেদী (১০)। বিউটির স্বামী মাহমুদ রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন : পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান।
এর আগে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মালিগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা লাগলে অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লেগে ভেতরে থাকা ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
এ সময় আহত অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃদুল মালোকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন : গরু নিয়ে ডুবে গেল ট্রলার
পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, এ ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। সেই সাথে স্বজনরা আবেদন করলে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হবে।
সান নিউজ/এনজে