বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রেললাইনের ওপর অবস্থান নেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া অন্য সব জেলার সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ শিক্ষার্থী সেখানে শুয়ে আছে বলে ট্রেন যাওয়ার কোনও উপায় নেই। রাতে ঢাকামুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেতে পারেনি। রাত ১১টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি রাজশাহী ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
তিনি আরও জানান, রেললাইন অবরোধ থাকায় ঢাকা থেকে আসা একটি মেইল ট্রেন নাটোরের আবদুলপুর জংশনে আটকে আছে।
আরও পড়ুন : মার্কিন অস্ত্র ইরানে পাঠাচ্ছে রাশিয়া!
প্রসঙ্গত, শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় ‘মোহাম্মদ’ নামের একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়িচালক ও তার সহযোগীর সাথে বাকবিতণ্ডা এবং বাস থেকে নামার সময় আরেক দফা কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় বিনোদপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বাসচালকের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় শিক্ষার্থীদের সাথে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : ক্যাম্পাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা, আহত ২ শতাধিক
এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সেখানে গেলে ব্যবসায়ীরা তার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেন। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গেটের পাশে ও অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বিনোদপুর বাজারে অবস্থান নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে অন্ধকারের মধ্যে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও অন্তত ১০ জন আহত হন।
এদিকে সন্ধ্যার পরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য যান। পরে আসে র্যাবের ১২০ জন সদস্য। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে ডিজেল আমদানি
সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বিনোদপুর বাজারে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। রাত সাড়ে ১০ টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও ক্যাম্পাসের বাইরে এসে বাজারের দোকানপাটে আগুন দিতে শুরু করলে পুলিশ টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। এর মধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে মহাসড়কে পেট্রোল বোমাও নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীর।
এ অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষার্থী এবং বাইরে পুলিশ অবস্থান করে।
আরও পড়ুন : এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি তুলার গুদামের আগুন
রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হওয়ায় বিষয়টি স্পর্শকাতর। তািই পুলিশের সিদ্ধান্ত নিতে দেড়ি হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন : পার্বত্য অঞ্চলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে
পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রাত ১২ টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ভর্তি করা ৮৬ জনের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই রাবি শিক্ষার্থী।
সান নিউজ/এনজে