আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : মানিকছড়ি উপজেলায় হালদা নদীর উজান,বিস্তৃত জায়গা জুড়ে অবাধে তামাক চাষ এবং বন উজার করে তামাকের চুল্লীতে কাঠ পোড়ানো দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কনস্টেবল নিয়োগে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক
সোমবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আসাদতলীর মো. মুছা মিয়া ও গোরখানার সাদেক মিয়ার তামাক চুল্লীতে অভিযান চালায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষ,কাঠ পোড়ানোর দায়ে চুল্লি দুটির পাইপ ও চুল্লির মুখ ভেঙ্গে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা সদরের যোগ্যছোলা, আসাদতলী, গোরখানা, ছদুরখীল, তুলাবিল, কালাপানি এলাকায় অন্তত ৩৭হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করেছে একটি চক্র! তামাক ক্ষেতের পাতা পরিপক্ক হওয়ার পর সংঘবদ্ধ চক্রটি চুল্লি বানিয়ে তাতে বন উজার করে কাঠ পুড়িয়ে তামাক পাতা শুকানো এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে, জনপদে ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এতে তামাক চাষীরা আতংকিত হয়ে পাতা পুড়ানোর ১৫টি চুল্লির অনেকগুলোর আগুন নিভয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন : ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ বলেন, তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবে হালদার জলজপ্রাণী, হালদা পাড়ের মানুষ ও আশেপাশের পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে । এছাড়া বন উজার করে কাঠ পুড়িয়ে তামাক চুল্লিতে তামাক পুড়ানোর আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
পরিবেশ ধ্বংস করে তামাক পাতা পোড়ানোর সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। কাঠ দিয়ে তামাক পড়ানোর এমন তথ্য পাওয়া গেলে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এইচএন