টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে শিক্ষার্থীসহ আটজনকে অপহরণের ঘটনার চার দিনের মাথায় মুক্তিপণ পরিশোধের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে তারা ছাড়া পান।
মুক্তি পাওয়া তরুণরা হলেন, জাহাজপুরা এলাকার রশিদ আহমেদের ছেলে আবছার উদ্দিন, ছৈয়দ আমিরের ছেলে নুরুল মোস্তাফা, করিম উল্লাহ নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ উল্লাহ, সেলিম উল্লাহ, রিদুওয়ান ও নুরুল হক।
অপহৃত সেলিমের বড়ভাই আকতার হোসেন জানান, অপহরণকারীরা শুরু থেকেই জনপ্রতি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে তল্লাশি চালায় ও সংবাদমাধ্যম ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেদন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপহৃতদের ওপর নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও জানান, শুরু থেকেই অপহরণকারীদের সঙ্গে দেনদরবার চলছিল। পরে তাদের চাহিদা মতো টাকা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করার পর বুধবার রাত ২টার দিকে অপহৃতদের নিয়ে জাহাজপুরা গর্জন বাগানের কাছাকাছি আসেন। এ সময় সেখানেই টাকা হস্তান্তর করার পর অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, বুধবার রাতে অপহৃতরা এলাকায় এসেছেন। পরে ঘটনাটি জানার পরপরই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, তাদের পাহাড়ি ছড়ার ভেতর বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে সবিস্তরে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন কখনও একা হবে না, সঙ্গে আছি
উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার পাহাড়ি ছড়ায় মাছ ধরতে যান তারা। সেখান থেকে অপহরণের শিকার হন তারা। তখন থেকে মুক্তিপণ না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অপহৃতের পরিবারের লোকজন।
সান নিউজ/এসআই