সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ি ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন ১২ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ইতোমধ্যে বীর নিবাসের ১২টি বাড়ির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই এই বীর নিবাস হস্তান্তর করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুদৃশ্যমান এই বাড়ি দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্থায়ী নিবাস হিসেবে রয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়’র অধীন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই ‘বীর নিবাস’ বাস্তবায়নে রয়েছে ভালুকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর।
‘বীর নিবাস’ নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুল আলম বাচ্ছু জানান, তারা এরই মধ্যে ১২টির মধ্যে ১২টি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগসহ নির্মাণকাজ শতভাগ সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন জেলেনস্কি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবিদুর রহমান জানান, ১২টি ‘বীর নিবাস’ এর শতভাগ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে ঘোষণা এলেই এই ১২টি ‘বীর নিবাস’বাড়ির চাবি বরাদ্দপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, দৃষ্টিনন্দন এই বাড়ির দৈর্ঘ্য ৩১.২২ ফুট ও প্রস্থ ২২.৮ ফুট। যেখানে থাকছে ৩টি রুম, ১টি বারান্দা, ১টি ডাইনিং রুম, ১টি কিচেন ও ২টি টয়লেট। বিদ্যুৎ সংযোগসহ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা তো থাকছেই। প্রবেশদ্বারেই রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। প্রতিটি ‘বীর নিবাস’র নির্মাণ ব্যয় ১৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়
পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন ১২ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন- উপজেলার মরচি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রশিদ মীর, পানিভান্ডায় মোঃ ছেলামত খাঁ, ধলিয়ায় গাজী নবাব আলী, বিরুনীয়ায় মোঃ আঃ মতিন ও আব্দুল মজিদ খানের ছেলে মোঃ আঃ মতিন, বাশিলের মোঃ নুরুল আমিন, ভালুকায় মোঃ সুবেদ আলী, মল্লিকবাড়ীর মোঃ আব্দুল বাতেন, সোনাখালীর গাজী মোঃ ইসমাইল হোসেন, পাঁচগাঁওয়ের মোঃ আঃ মতিন পাঠান,পাড়াগাঁওয়ের মোঃ ইব্রাহিম, পারুলদিয়ার মোঃ সামসুল হক।
উপজেলায় ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বীর নিবাস পাওয়ায় ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: আফগান নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু বলেন, বয়স্করা একসময় সংসারের বোজা ছিল এখন তারা সকলের কাছে আদরের পাত্র হয়েছে। কারন প্রধান মন্ত্রী বয়স্ক ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এই বীর নিবাস দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্থায়ী নিবাস মাইল ফলক হিসেবে রয়ে যাবে। এজন্য ভালুকা বাসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সান নিউজ/এমএ/এমআর