নাটোর প্রতিনিধি : বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের চাপ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবনে এক সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ
এ সময় স্ত্রী বিথী আক্তার (২৩) মারা গেলেও স্বামী ওমর ফারুক (৩২) সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন ওমর ফারুক কালিকাপুর মহল্লার মফিজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত বিথী ওমর ফারুকের ছোট স্ত্রী বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে ফল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বিথীকে বিয়ে করে পাশের হালদার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে তাদের সংসারে কলহ চলছিল।
আরও পড়ুন : অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বিশ্ব
তাছাড়া তিনি বিভিন্ন এনজিও এবং সুদি মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ নেন। বর্তমানে ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় বেশির ভাগ সময় দোকান বন্ধ রেখে তিনি বাসাতেই থাকতেন। শুক্রবার সকালে তারা দুজন এক সাথে ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে তারা পায়ে হেঁটে ফারুকের পৈত্রিক বাড়িতে যান।
এ সময় স্বজনরা বুঝতে পেরে তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিথী আক্তার মারা যান। ওমর ফারুক বর্তমানে রাজশাহী বেসরকারী নিউ লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : কমনওয়েলথের দুই কমিটিতে বাংলাদেশ
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার অনেক টাকা ঋণ রয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া একাধিক বিয়ে করা নিয়েও পারিবারিক কলহ ছিলো বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/এইচএন