এস.এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে মর্জিনা বেগম একজন। উন্নত জীবন যাপনের দ্বার উন্মোচন হওয়ায় মর্জিনা বেগমের মতো অন্যান্যদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্ব শান্তি পুরস্কার’ পেল বাংলাদেশ
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের দুর্গম কাজিয়ার চর, বাদামের চর, ফ্রেন্ডশীপ চর, কালাই শোতা চর, বোঁচা গাড়ী চরসহ বিভিন্ন চর অঞ্চলে দেখা যায় অনেক পরিবার কোন রকমে খরের চালা ঘর, টিনের চালা ঘরে অতি কষ্টে বসবাস করছেন। তাদের নেই কোন স্যানিটেশনের ব্যবস্থা। অনেকে মাটির গর্তে পাট কাটির বেড়া দিয়ে ল্যাট্রিন তৈরি করেছে। অনেক পরিবারের কোন ল্যাট্রিন নেই, তারা খোলা জায়গা, ঝোপঝারে মলমূত্র ত্যাগ করেন। বিশুদ্ধ খাবার পানিও পাচ্ছে না অনেক পরিবার।
বাদামের চর গ্রামের চান মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানান, দুই প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানসহ ৫ সদস্যর পরিবার নিয়ে খরের চালা ঘরে বসবাস করতেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে এখন পরিবার পরিজন নিয়ে উন্নত জীবন যাপন করছি। মহান আল্লাহ যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘায়ু দান করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমল
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া বলেন, উপজেলা যাচাই কমিটিসহ তদন্ত সাপেক্ষে ঘরগুলো প্রদান করা হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল মানসম্পন্ন ঘর নির্মাণে নিয়মিত তদারকি করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মারুফ বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৫১০টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে কাপাসিয়া ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত ৩৬২টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করা হয়।
সান নিউজ/কেএমএল