ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তার ঢালাই উঠে গিয়ে খাল-খন্দে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে থাকে সড়কগুলো।
আরও পড়ুন : হাটে মানতে হবে ১৬ নির্দেশনা
পৌর শহরের ১২টি ওয়ার্ডে ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণ করা হলেও এসব রাস্তার প্রায় ৮০ শতাংশই খাল-খন্দে ভরা। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিনেও রাস্তাগুলো সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সূত্রে মতে, পৌরসভার ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে পাকাকরণ করা হয়েছে ৮৫ কিলোমিটার। আরো ৫০ কিলোমিটার রাস্তা এখনো পাকা করণের বাকি রয়েছে।
শহরের চৌরাস্তা থেকে কালিবাড়ী হয়ে সত্যপীর ব্রীজ, সেনুয়া, গোয়ালপাড়া,জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সড়ক, জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সড়ক, হাজীপাড়া, আশ্রমপাড়া, শাহাপাড়া, ঘোষপাড়া, নিশ্চিন্তপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি মহল্লার প্রধান প্রধান সড়ক গুলোর এতোটাই বেহাল যে সামন্য বৃষ্টিতে পুরো রাস্তা পানিতে ডুবে থাকে।
দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এসব সড়ক।কোথাও কোথাও রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে যেখানে সেখানে ছোট বড় অসংখ্য খালখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই খালখন্দগুলো হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন : ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি টাইগাররা
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ২০ বছর আগে রাস্তাগুলো পাকাকরণ করা হয়। কাজের কিছু যে না যেতেই রাস্তার ঢালাই উঠে যায়। এরপর আর কোন কাজ করা হয়নি। বর্ষা এলেই রাস্তাগুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। রাস্তা মেরামত বিষয়ে পৌর- মেয়র ও কাউন্সিলরকে বহুবার লিখিতভাবে বলা হলেও আজ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি।
এখন বলতে গেলে তারা বলে বরাদ্দ না থাকলে কি আমরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রাস্তা সংস্কার করব। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা যায় না। রিক্সা, সাইকেল ও গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়।
আরও পড়ুন : ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা এলজিএসপি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই প্রকল্পে থাকছে, রাস্তা, ড্রেন, লাইটিং ব্যবস্থা ও ফুটপাত তৈরি। এই প্রকল্পে প্রধান প্রধান সড়কগুলো সংস্কারের আওতায় আনা হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এর কাজ শুরু করতে পারব।
সান নিউজ/এইচএন